সিজদায় থাকাবস্থায় গুলি হয়ঃ প্রত্যক্ষদর্শী।


    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হরিপুরে শিয়া মুসলিমদের মসজিদ আল মস্তেফায় হামলাকারীরা তিনজন ছিলেন বলেও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় উঠে এসেছে। 
     
    হামলায় নিহত মুয়াজ্জিনের নাম মোয়াজ্জেম হোসেন (৭০)। আহতরা হলেন ইমাম শাহিনুর রহমান (৬০), মুসল্লি তাহের মিস্ত্রি (৫০) ও আফতাব আলী (৪০)।
     
    নিহত মোয়াজ্জেমের চাচা উকিল মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, “যখন সবাই মাগরিবের নামাজের সেজদায় ছিল, তখনই হঠাৎ গুলি হয়।”
     
    ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক যুবক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তিনজন যুবক কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে প্রাচীর টপকিয়ে পালিয়ে যায়।”
     
    এদের মধ্যে একজন টুপি-পাঞ্জাবি পরা এবং অন্য দুজন চেক শার্ট প্যান্ট পরা ছিলেন বলে একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন। 
     
    গত মাসে পুরান ঢাকায় শিয়াদের ইমাম বাড়ায় বোমা হামলার পর সম্প্রতি শিবগঞ্জের শিয়ারাও হুমকি পাচ্ছিলেন বলে ওই এলাকার বাসিন্দা মোজাফ্ফর হোসেন জানান। 
     
    তিনি বলেন, প্রায় ৩০ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করছিল। তখনি গুলিবর্ষণ হয়। 
     
    উকিল মিয়া বলেন, “হঠাৎ নির্বিচারে গুলি করার ঘটনায় আমরা হতবাক হয়ে গেছি। এখানে শিয়া-সুন্নির কোনো দ্বন্দ্ব ছিল না। কখনই কারও সঙ্গে মসজিদ নিয়ে কোনো বিরোধ ছিল না।”
     
    হামলাকারী কারা, তা এখনও চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ কিংবা স্থানীয়দের কেউ। 
     
    মহররমে ঢাকায় শিয়াদের তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতির সময় বোমা হামলায় দুজন নিহত হয়েছিলেন। 
     
    মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস ওই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে বলে দাবি উঠলেও সরকার বলছে, এই দলটির তৎপরতা বাংলাদেশে নেই। 
     
    বগুড়া পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, “এটা দুর্বৃত্তদের হামলা। এ ঘটনায় জড়িরা কেউ রেহাই পাবে না।”

    *

    Post a Comment (0)
    Previous Post Next Post