ফ্রেন্স পলিশ এবং স্প্রিট পলিশ এর মধ্যে বেশ পার্থক্য আছে। ফ্রেন্স পলিশ রেডিম্যড কিনতে পাওয়া যায়। আর স্প্রিট পলিশ বানাতে হয়। পলিশ কাঠকে দেখতে সুন্দর করে, চকচকে করে এবং কাঠের নিজস্ব রংটি দেখা যায়। কেননা পলিশ সাধারণত স্বচ্ছ হয়।
সার্ফেস প্রিপারেশন
- সার্ফেস অবশ্যই পরিস্কার করে হবে। সিরিজ কাগজ বা স্যান্ড পেপার দিয়ে ঘষে এর তলা তেলতেলে করতে হবে। এরপরে তুলা দিয়ে পরিস্কার করতে হবে যেন কোন ময়লা বা গুড়া না থাকে। যদি কাঠের মধ্যে কোন ছিদ্র থাকে তাহলে পুটি দিয়ে তা বন্ধ করতে হবে। এরপর উড ফিলার দিয়ে এর তলা ভালভাবে স্মুথ করতে হবে এবং গ্লাস পেপার দিয়ে উপরিভাগ পরিস্কার করতে হবে।
পলিশ দেওয়ার পদ্ধতি
- সাদা কাপড় পলিশে ভিজিয়ে কাঠের তলাতে সুন্দরভাবে এবং সমভাবে ঘষতে হবে
- তলা শুকানোর পর আবার আগের মত সমভাবে পলিশে ভেজা কাপড় দিয়ে ঘষতে হবে।
- সবশেষে সাদা কাপড় হালকা স্প্রিটে ভিজিয়ে বৃত্তাগার গতিতে খুব দ্রুত ঘষতে হবে। এতে করে বেশ উজ্জল ও সুন্দর দেখাবে।
- সবশেষে লেকার দিলে ভাল হবে। এতে পলিশের স্থায়িত্ব বৃদ্ধি পায় এবং সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পায়।
পুরাতন কাজের উপর পলিশ
- পুরাতন পলিশের উপর নতুন পলিশ করতে হলে প্রথমে তারপিন দিয়ে ময়লা উঠিয়ে ফেলতে হবে। এরপর স্যান্ড পেপার দিয়ে ভালভাবে ঘষতে হবে।
- এরপার পলিশ রিমুভার দিয়ে পুরাতন পলিশ উঠিয়ে ফেলতে হবে।
- এরপর নতুন পলিশের মত করে একই পদ্ধতিতে পলিশ করতে হবে
পলিশের সুবিধা
- কাঠের ফার্নিচার যেমন ডাইনিং টেবিল, চেয়ার ইত্যাদি, মোট কথা দামি কাঠের তৈরি ফার্নিচারে এর ব্যবহার অপরিহার্য
- অল্প মানুষের চলাচলের স্থানের উডেন ফ্লোরেও এর ব্যবহার করা হয়
- 15-20 মিনিটে প্রতি কোট বা আস্তর পলিশ করা যায়। তাই একঘন্টাতেই পলিশের কাজ শেষ করা সম্ভব। সুতরাং সময় কম লাগে
পলিশের অসুবিধা
- পুরাতন পলিশের উপর করা যায় না। পুরাতন পলিশ উঠিয়ে তারপর করতে হয়
- ইন্টেরিয়র বা ভেতরে স্থানে ব্যবহার উপযোগি, বাহিরে ব্যবহার করা যায় না।
- টয়লেট, রান্নাঘর এর জন্য ব্যবহার করা যায় না।