পদ্মা সেতু : স্বপ্ন যেভাবে সত্যি হলো

    কয়েক ঘণ্টা পরেই উদ্বোধন করা হবে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বহুল প্রতিক্ষিত পদ্মা বহুমুখী সেতু। গুরুত্বপূর্ণ এ সেতু রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য বড় শহরের সঙ্গে দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সড়ক এবং রেল যোগাযোগ স্থাপন করবে। গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে দেশের অর্থনীতিতে।

    বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধ থেকে শুরু করে নানা কারণে ব্যাপক আলোচিত এ সেতু বিভিন্ন ঘটনা প্রবাহের মধ্যে দিয়ে আজ বাস্তবায়ন হয়েছে।


    এক নজরে পদ্মা সেতুর স্বপ্ন থেকে বাস্তবায়ন

    ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ১৯৯৮-৯৯ সালে প্রমত্তা পদ্মা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের প্রাক-সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করা হয়। এরপর ২০০১ সালের ৪ জুলাই পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


    ২০০৩-২০০৫ সালে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করা হয়। ২০০৪ সালে জাপানি উন্নয়ন সংস্থা জাইকা একটি সমীক্ষা চালিয়ে মাওয়া-জাজিরা পয়েন্টে সেতু নির্মাণের পরামর্শ দেয়। এরপর ২০০৬ সালে পদ্মা সেতুর জন্য জমি অধিগ্রহণের প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু করা হয়।


    ২০০৭ সালে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সহায়তায় এ সেতু নির্মাণের আলোচনা শুরু করে। তখন একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ১০ হাজার ১৬২ কোটি টাকা।


    ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর পদ্মা সেতু নির্মাণে গতি পায়। দায়িত্বগ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন আঙ্গিকে পদ্মা সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করেন। পদ্মা সেতুকে শুধু সড়কে সীমাবদ্ধ না রেখে এতে রেল সংযুক্ত করেন। দুই তলা এ সেতুর ওপরে সড়ক এবং নিচ তলা দিয়ে রেল লাইন নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়।


    ২০০৯ সালে পদ্মা সেতুর জন্য ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়। ২০০৯ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে বিস্তারিত নকশা প্রণয়ন করা হয়। নকশা প্রণয়নের দায়িত্ব পায় নিউজিল্যান্ডভিত্তিক মাউনসেল লিমিটেড। ২০১০ সালের ১১ এপ্রিল মূল সেতুর দরপত্র আহ্বান করা হয়।


    ২০১১ সালের ১১ জানুয়ারি রেলপথ যুক্ত করে একনেকে ২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকায় পদ্মা বহুমুখী সেতু সংশোধিত নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।


    ২০১১ সালের ২৮ এপ্রিল পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে ১২০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি হয়। একই বছরের ১৮ মে জাইকার সঙ্গে সরকারের ৪১ কোটি ৫০ লাখ ডলার এবং ৬ জুন  এডিবির সাথে ৬১ কোটি ৫০ লাখ ডলারের ঋণচুক্তি করে সরকার।


    ২০১১ সালের ১০ অক্টোবর পদ্মা প্রকল্পে অর্থায়ন স্থগিত করেছে বিশ্ব ব্যাংক। দুর্নীতির অভিযোগ আনে সংস্থাটি।


    ২০১১ সালের ১৪ নভেম্বর সেতু বিভাগের সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াকে বদলি করে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়। একই বছরের ৫ ডিসেম্বর তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।


    ২০১২ সালের ২৯ জুন ঋণচুক্তি বাতিলের কথা জানায় বিশ্ব ব্যাংক। পরে অন্যান্য দাতা সংস্থাগুলোকে একই পথ ধরে। পদ্মা সেতুতে বিশ্ব ব্যাংক অর্থায়ন বন্ধে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দায়ী করে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


    ২০১২ সালের ৪ জুলাই জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করার কথা বলেন। ৮ জুলাই নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ পরিকল্পনা সংসদে পেশ করেন তিনি।


    ২০১২ সালের ৯ জুলাই নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রিসভা। বৈঠকে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহের সিদ্ধান্ত হয়।


    ২০১২ সালের ২৩ জুলাই বিশ্ব ব্যাংকের দেওয়া শর্ত মেনে সৈয়দ আবুল হোসেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে পদত্যাগ করেন। ২৪ জুলাই আগেই সেতু সচিব থেকে সরিয়ে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান করে পাঠানো মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াকে ও এসডি করে ছুটিতে পাঠায় সরকার।


    ২০১২ সালের ২৫ ‍জুলাই লন্ডনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ব ব্যাংক আসুক আর না আসুক। আমরা পদ্মা সেতু করব। আমাদের নিজেদের প্রস্তুতি আছে।


    ২০১২ সালের ১৭ ডিসেম্বর সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াকে প্রধান আসামি করে সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ২৬ ডিসেম্বর রাজধানীর শাহবাগ এলাকা থেকে মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয় দুদক। গ্রেপ্তার করা হয় আরও দু’জনকে। ২০১৩ সালের ১৬ জানুয়ারি মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করে সরকার। ২০১৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি জামিনে মুক্ত হন তিনি।


    ২০১৩ সালের ৩১ জানুয়ারি পদ্মা সেতুতে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থ আর নেওয়া হবে না সরকার এমন সিদ্ধান্তের কথা জানায়।


    ২০১৪ সালের ১৭ জুন পদ্মা বহুমুখী সেতুটি নির্মাণে চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি করে সেতু বিভাগ।


    ২০১৪ সালে ১৭ সেপ্টেম্বর দুদক জানায় পদ্মা সেতুতে কোন দুর্নীতি হয়নি। ২৬ অক্টোবর পদ্মা সেতু দুর্নীতির মামলার অবসান হয়।


    ২০১৭ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি কানাডার গণমাধ্যম জানায়, পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের যে অভিযোগ তুলে বিশ্ব ব্যাংক ঋণ বাতিল করেছিল তার প্রমাণ পায়নি কানাডার আদালত।


    ২০১৪ সালের ২৬ নভেম্বর মূল পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


    ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পদ্মা নেতুর পিয়ারে প্রথম স্প্যান বসানো হয়। এ প্রথম দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে ৪২টি পিয়ারে ৪১টি স্প্যান বসানো হয়। ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর শেষ স্প্যান বসানোর মাধ্যমে সংযুক্ত হয় মাওয়া-জাজিরা, দৃশ্যমান হয় ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটারের পদ্মা সেতু।


    ২০২১ সালের ১০ নভেম্বর পদ্মা সেতুতে পিচ ঢালাইয়ের কাজ শুরু হয়। 


    ২০২২ সালের ৪ জুন প্রথম সেতুর ল্যাম্প পোস্টে আলো জ্বলে। ১৪ জুন মাওয়া থেকে জাজিরা পর্যন্ত ৪১৫ টি বাতি একযোগে জ্বালানো হয়। উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত করা হয় পদ্মা সেতু। 


    একনজরে পদ্মা সেতুর আদ্যোপান্ত

    # প্রকল্পের নাম : পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প।

    # প্রকল্পের অবস্থান : রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে।

    # বিশ্বের ১১তম দীর্ঘ সেতুর পুরো নাম ‘পদ্মা বহুমুখী সেতু’।

    # সেতুটি নির্মাণে ৯১৮ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করতে হয়েছে।

    # এই সেতুর নির্মাণ প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড

    # সেতুর নকশা প্রণয়ন করেছে আমেরিকার মাল্টি ন্যাশনাল ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্ম।

    # সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার (২০,২০০০ ফুট)

    # প্রস্থ ১৮ দশমিক ১০ মিটার (৫৯.৪ ফুট)।

    # সেতুটি রক্ষণাবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ

    # প্রতিদিন গড়ে ৭৫ হাজার যানবাহন চলাচল করবে।

    # ভূমিকম্প সহনশীল মাত্রা ৯

    # সেতুটির ভায়াডাক্ট ৩ দশমিক ১৮ কিলোমিটার এবং পিলার ৮১টি। মোট স্প্যান সংখ্যা ৪২।

    # প্রতিটি স্পেনের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার এবং প্রতিটি স্পেনের ওজন ৩ হাজার ২০০ টন।

    # সেতুর স্থানাঙ্ক ২৩.৪৪৬০ ডিগ্রি (উত্তর) এবং ৯০.২৬২৩ ডিগ্রি (পূর্ব)।

    # পানির স্তর থেকে এই অত্যাধুনিক সেতুর উচ্চতা ৬০ ফুট এবং এর পাইলিং গভীরতা ৩৮৩ ফুট।

    # সেতুর উপরের তলায় চার লেনের সড়ক এবং নিচতলায় রেললাইন।

    # সংযোগ সড়ক হচ্ছে জাজিরা ও মাওয়া

    # সংযোগ সড়কের দূরত্ব ১৪ কিলোমিটার

    # দুই পারে নদী শাসন ১২ কিলোমিটার

    # দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২৯টি জেলার সঙ্গে সংযোগ ত্বরান্বিত হবে।

    # প্রকল্পের মোট ব্যয়: ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকা।

    # মূল চুক্তিমূল্য : ১২ হাজার ১৩৩ কোটি ৩৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা।

    # কাজ শুরু: ২৬ নভেম্বর, ২০১৪।

    # চুক্তি অনুযায়ী কাজ সমাপ্তির তারিখ : ২৫ নভেম্বর, ২০১৮। পরে কয়েক ধাপে সময় বাড়ানো হয়।

    # রেল সংযোগ : পদ্মা সেতুতে রেললাইন স্থাপন হচ্ছে স্প্যানের মধ্য দিয়ে।

    # প্রধান উপকরণ : কংক্রিট ও স্টিল।

    # প্রবৃদ্ধি বাড়বে : ১ দশমিক ২ শতাংশ।

    # সেতু পারে বৃক্ষরোপণ : লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৪ লক্ষাধিক।

    # পদ্মা সেতু জাদুঘর স্থাপন, পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্প ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির আওতায় ‘পদ্মা সেতু জাদুঘর প্রতিষ্ঠা’র জন্য নমুনা সংগ্রহ ও সংরক্ষণের কাজ চলমান।


    এক নজরে পদ্মা সেতু প্রকল্পের খরচ সমুহ

    নাম : পদ্মা সেতু

    দৈর্ঘ্য : ৬.১৫ কিলোমিটার

    ভায়াডাক্ট (স্থলভাগে সেতুর অংশ) সহ দৈর্ঘ্য : ৯.৮৩ কিলোমিটার 

    প্রস্থ : ২১.৬৫ মিটার

    মোট পিলারের সংখ্যা : ৪২টি

    স্প্যানের সংখ্যা : ৪১টি

    প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য: ১৫০ মিটার

    স্প্যানগুলোর মোট ওজন: ১,১৬,৩৮৮টন

    প্রতিটি পিলারে নিচে পাইলের সংখ্যা: ৬টি (কিছু কিছু পিলারে ৭টি পাইলও দেওয়া হয়েছে)

    পাইলের ব্যাস: ৩ মিটার

    পাইলের সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য: ১২৮ মিটার

    মোট পাইলের সংখ্যা: ২৬৪টি ( ভায়াডাক্টের পিলারের পাইলসহ ২৯৪টি)

    জমি অধিগ্রহণ: ৯১৮ হেক্টর

    ব্যবহৃত স্টিলের পরিমাণ : ১,৪৬,০০০ মেট্রিক টন 

    নির্মাণ কাজ শুরু : ৭ই ডিসেম্বর ২০১৪

    মূল সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু : মাওয়া প্রান্তে ৬ নম্বর পিলারের কাজ দিয়ে

    সক্ষমতা : দৈনিক ৭৫ হাজার যানবাহন

    পানির স্তর থেকে সেতুর উচ্চতা: ১৮ মিটার

    পদ্মা সেতুর আকৃতি: ইংরেজি এস (S) অক্ষরের মতো 

    ভূমিকম্প সহনশীলতা : রিক্টার স্কেলে ৮ মাত্রার কম্পন

    অ্যাপ্রোচ রোডের দৈর্ঘ্য: ১২ কিলোমিটার

    নদীশাসন: ১৬.২১ কিলোমিটার

    সেতুর আয়ুষ্কাল: ১০০ বছর

    সেতুর মোট ব্যয়: ৩০,১৯৩.৩৯ কোটি

    ঢাকার সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হবে এমন জেলার সংখ্যা: ২১টি

    সরাসরি উপকারভোগী মানুষের সংখ্যা:  দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলের ৩ কোটি মানুষ

    যেসব দেশের বিশেষজ্ঞ ও প্রকৌশলীরা কাজ করেছেন : চীন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জার্মানি, অট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ন্যাদারল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, জাপান, ডেনমার্ক, ইতালি, মালয়েশিয়া, কলম্বিয়া, ফিলিপাইন, থাইওয়ান, নেপাল ও দক্ষিণ আফ্রিকা। 

    প্রকল্পের অঙ্গ(component) ভিত্তিক ব্যয় বিভাজন: 

    ক) মূল সেতুর ব্যয়: ৪০০ কেভি ট্রান্সমিশন লাইন টাওয়ার ও গ্যাস লাইনের ব্যয়সহ ১১,৯৩৮.৬৩ কোটি টাকা (বরাদ্দ ১২,১৩৩.৩৯ কোটি টাকার বিপরীতে) 

    খ) নদীশাসন কাজ: ৮,৭০৬.৯১ কোটি টাকা (৯,৪০০ কোটি টাকার বিপরীতে)

    গ) অ্যাপ্রোচ রোড: ২টি টোল প্লাজা, ২টি থানা বিল্ডিং ও ৩টি সার্ভিস এরিয়াসহ ১৮৯৫.৫৫ কোটি টাকা (১৯০৭.৬৮ কোটি টাকার বিপরীতে )

    ঘ) পুনর্বাসন ব্যয়: ১,১১৬.৭৬ কোটি টাকা (১,৫১৫ কোটি টাকার বিপরীতে)

    ঙ) ভূমি অধিগ্রহণ: ২৬৯৮.৭৩ কোটি টাকা

    চ) পরিবেশ: ২৬.৭২ কোটি (১২৯.০৩ কোটি টাকা)

    ছ) অন্যান্য  বেতন ভাতা, পরামর্শক, সেনা নিরাপত্তা ইত্যাদি: ১৩৪৮.৭৮  কোটি (২৪০৯.৫৬ কোটি টাকার বিপরীতে) 

    প্রকল্পের মোট অনুমোদিত ব্যয়: ২৭,৭৩২.০৮ কোটি টাকা (৩০১৯৩.৩৯ কোটি টাকার বিপরীতে) 

    সেতু উদ্বোধন: ২৫ জুন ২০২২।

    *

    Post a Comment (0)
    Previous Post Next Post