চাকরিজীবীগণ কিছু সংখ্যা সব সময় স্মরণে রাখুনঃ
👉 চাকরিতে আসলে ‘হানিমুন পিরয়ড’ বলে কিছু নাই; যত বেশি ‘হানিমুন পিরয়ড’ কাটাবেন, তত বেশি অন্যদের তুলনায় পিছিয়ে পড়বেন! নতুন চাকরিতে ঢোকার প্রথম ১১১ দিনের মধ্যে অবশ্যই বিশেষ ব্যতিক্রমী কিছু করে দেখাতে হবে, নইলে বাকিটা জীবন আপনি ওই কোম্পানিতে গড়পরতা কর্মী হিসেবে বিবেচিত হবেন।
👉 প্রথম ২২২ দিনের মধ্যে নিজের কাজ/দায়িত্ব পুরোপুরি বুঝে নিতে হবে। এরপর আর কোনোকিছুর জন্যে এই পদে আগে যিনি ছিলেন, তাঁর কাঁধে দোষ চাপিয়ে পার পাওয়া যাবে না!
👉 কোনো চাকরিতে যোগদানের পর ৩৩৩ দিন টিকতে না পারলে বুঝে নিতে হবে- হয় আপনি ওই পদের যোগ্য ছিলেন না অথবা কোম্পানিটি আপনার জন্য যথাযোগ্য ছিল না (যথাযথ খোঁজখবর ছাড়াই শুধুমাত্র পদবি ও বেতনের মোহে আপনি ভুল জায়গায় যোগ দিয়েছিলেন)!
👉 যা কিছু পরিবর্তন করার অথবা নিজেকে বদলানোর প্রক্রিয়া প্রথম ৪৪৪ দিনের মধ্যেই সুসম্পন্ন করতে হবে। এরপর শুধু নির্ধারিত পদ্ধতি/নিয়মানুযায়ী সবকিছু চলমান থাকবে।
👉 ৫৫৫ দিনের মধ্যে আপনার দৈনন্দিন কাজে শুরুর তুলনায় নতুন করে গতি সঞ্চার করতে হবে; মানে কর্মকুশলতা (Productivity) আরো বাড়িয়ে নিতে হবে। এজন্য প্রয়োজনে পেশা-সংশ্লিষ্ট বই পড়ুন ও প্রশিক্ষণ কর্মশালায় যোগ দিয়ে শিখে নিন।
👉 কোনো পদে ন্যূনতম ৬৬৬ দিন দায়িত্ব পালন না করলে সেটা সিভি/রেজ্যুমে-তে উল্লেখ করার মতো বিশেষ কোনো যোগ্যতা/অর্জন নয়।
👉 দায়িত্ব পালনের প্রথম ৭৭৭ দিনের মধ্যে অন্তত তিনটি বিশেষ কাজ/অর্জনের অধিকারী হতে হবে- যা কি না বহুবছর ওই কোম্পানিতে উদাহরণ হিসেবে সহকর্মীদের মধ্যে আলোচিত হবে।
👉 ৮৮৮ দিনের মধ্যে আপনাকে আপনার কোম্পানির সমপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ বেতন-ভোগী হতেই হবে।
👉 ৯৯৯ দিনের বেশি একই পদে, একই জায়গায়/ডেস্ক-এ, একই কাজ, একই বসের অধীনে, একই বেতনে, একই কোম্পানিতে চাকরি করবেন না; করলে হয় আপনি ঠকছেন অথবা কোম্পানিকে ঠকাচ্ছেন!
পুনশ্চঃ কেউ কোনো চাকরি ছেড়ে আসার পরবর্তী ১০০ দিনের মধ্যেও ন্যূনতম সমমানের চাকরি জুটিয়ে নিতে না পারার অর্থ তিনি ওই পদের (সর্বশেষ অবস্থান) উপযুক্ত ছিলেন না; তাকে এখন এক ধাপ নিচের চাকরির জন্য চেষ্টা করতে হবে!
(রাজিব আহমেদ)
Great job bro, I am Arjun.Ex-opt
ReplyDeleteThank you so much, Brother.
Delete